সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ - সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম। বিস্তারিত জানুন
ফেনাট সিরাপ 100 মিলি এর কাজ - ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম। বিস্তারিত জানুনআপনি হয়ত অনেক জায়গায় সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ কি, সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার
নিয়ম খুঁজছেন। অনেক ওয়েবসাইট ঘুরেও হয়ত আপনি নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাচ্ছেন না।
চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি সেফ ৩ ডিএস
ক্যাপসুল এর কাজ কি, সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম।
সাথে আরো আলোচনা করতে যাচ্ছি সেফ ৩ ৪০০ কিসের ঔষধ, শিশুদের সেফ ৩ খাওয়ার নিয়ম
সহ এই ধরনের সেফ ৩ ক্যাপসুল সম্পর্কিত আরো অনেক বিষয়। সুতরাং এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন এবং যেনে নিন সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ।
সূচিপত্র: সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ
ভূমিকা
সেফ ৩ ডিএস বা সেফ ৩ ক্যাপসুল একটি সেফিক্সিম ট্রাইহাড্রেট গ্রুপের ঔষধ। এটি একটি
অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা প্রধানত ব্যাকটেরিয়া সংঘটিত
সংক্রামক রোগে প্রতিরোধ করতে এই ওষুধটি রেকমেন্ট করে থাকেন। ব্যাকটেরিয়া সংঘটিত
সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পেতে এই ঔষধটি যেমনই কার্যকর তেমনই এই ঔষধটির সামান্য
কিছু সাইড ইফেক্টও রয়েছে।
ঔষধটি খাওয়ার নিয়ম কানুন এবং এর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে না জেনে কখনোই এই ওষুধটি
খাওয়ার উচিত নয়। সুতরাং এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন এবং সেফ ৩ ডিএস বা সেফ ৩ ক্যাপসুল সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে
জেনে নিন।
সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ
সেফ ৩ ডিএস বা সেফ ৩ ক্যাপসুল একটি সেফিক্সিম ট্রাইহাড্রেট গ্রুপের ঔষধ। এটি একটি
অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ। সেফ ৩ ডিএস বা সেফ ৩ ক্যাপসুল প্রধানত ব্যাকটেরিয়া
সংঘটিত সংক্রামক রোগে প্রতিরোধ করতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে
- ওটিটিস মিডিয়া
- স্ট্রেপ থ্রোট
- নিউমোনিয়া
- মূত্রনালীর সংক্রমণ
- গনোরিয়া
- লাইম রোগ ইত্যাদি
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহারকৃত ঔষধের সাথে সেফ ৩ ডিএস
বা সেফ ৩ ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের শরীরের সংক্রামক রোগ
সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে। সেফিক্সিম ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরে
অবস্থিত প্রোটিন গুলির সাথে আবদ্ধ হয়ে ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের
পেপ্টিডোগ্লাইকান সংশ্লেষণের চূড়ান্ত ট্রান্সপেপ্টিডেশন ধাপকে বাধা প্রদান করে।
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরে জৈব সংশ্লেষণ কে বাধা প্রদানের ফলে এটি ব্যাকটেরিয়া
কোষের মৃত্যু ঘটায়।
সেফ ৩ ২০০ কিসের ঔষধ - সেফ ৩ ৪০০ কিসের ঔষধ
সেফ ৩ ২০০ এবং সেফ ৩ ৪০০ দুটিই সেফিক্সিম ট্রাইহাড্রেট গ্রুপের ঔষধ। পার্থক্য
শুধু এতটুকু যে সেফ ৩ ২০০ ঔষধে সেফিক্সিম এর পরিমাণ রয়েছে ২০০ মিলিগ্রাম এবং সেফ
৩ ৪০০ বা সেফ ৩ ডিএস এর মধ্যে সেফিক্সিম এর পরিমাণ রয়েছে ৪০০ মিলিগ্রাম।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা প্রধানত যেসব রোগীর শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংগঠিত সংক্রামক
রোগের তীব্রতা কম পরিমাণে রয়েছে তাদেরকে সেফ ৩ ২০০ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন
এবং যাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক সংঘটিত রোগের তীব্রতা বেশি পরিমাণে রয়েছে
তাদেরকে সেফ ৩ ৪০০ বা সেফ ৩ ডিএস ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংগঠিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত
প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে ২০০ মিলি গ্রাম করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইবার সেফ ৩
ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিছু বিশেষ রোগীর ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম
ঘটতে পারে। যে রোগীদের সমস্যা বেড়ে গেছে সে রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৪০০ মিলি
গ্রাম করে সর্বোচ্চ দুইবার সেবন করা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা কম হলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইটি করে সেফ ৩ ২০০ ক্যাপসুল
সকালে এবং রাতে খাওয়া যেতে পারে। রোগের তীব্রতা খুব বেশি পরিমাণে হলে সেফ ৩ ৪০০
বা সেফ ৩ ডিএস প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইটি করে সকালে এবং রাতে খাওয়া যেতে পারে।
শিশুদের সেফ ৩ খাওয়ার নিয়ম
শিশুদের ক্ষেত্রে ক্যাপসুল না খাওয়ানোই উত্তম। শিশুদের ক্ষেত্রে বাজারে যে সেফ ৩
সিরাপ পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করা উচিত। যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তাহলে ছয়
মাস থেকে এক বছরের শিশুদেরকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৭৫ মিলি গ্রাম খাওয়ানো যেতে
পারে। এক থেকে চার বছরের শিশুদেরকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০ মিলি গ্রাম।
পাঁচ থেকে দশ বছরের শিশুদেরকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ মিলি গ্রাম, ১১ থেকে ১২
বছরের শিশুদেরকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিগ্রাম খাওয়ানো যেতে পারে। তবে খেয়াল
রাখতে হবে ছয় মাসের নিচের শিশুদেরকে কোনক্রমেই সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
এটি ছয় মাসের নিচের শিশুদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সাব্যস্ত হতে পারে।
সেফ ৩ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পৃথিবীতে এমন কোন ঔষধ নেই যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই প্রতিটি ওষুধের
প্রায় কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তফাৎ শুধু এতটুকুই যে কোন
ওষুধের ক্ষেত্রে সেটা কিছুটা বেশি কোন ঔষধের ক্ষেত্রে কিছুটা কম। সেফ ৩ ক্যাপসুল
ও এর ব্যতিক্রম নয়। এই ঔষধটি আমাদেরকে অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করলেও কারো
কারো ক্ষেত্রে এই ঔষধের কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হচ্ছে।
- বমি বমি ভাব
- বমি
- ডায়রিয়া
- পেটে ব্যথা
- বদহজম
- পেট ফাঁপা
- মাথাব্যথা
- মাথাঘোরা
- ফুঁসকুড়ি
- চুলকানি
- আমবাত
- সন্ধি ব্যথা
- এলার্জি প্রতিক্রিয়া
- মলের ধরণ পরিবর্তন
- ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল ইত্যাদি
তবে এই সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় এবং ঔষধ সেবন
বন্ধ করার খুব কম সময়ের মধ্যেই এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি স্বাভাবিক হতে শুরু
করে।
শেষ কথা
আমরা এতক্ষণ ধরে সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ কি, সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম কি
না তা নিয়ে আলোচনা করলাম। চেষ্টা করলাম আপনাদেরকে সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ কি
এবং সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম কি না তা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার।
মনে রাখবেন যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আশা করছি আপনি সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ কি, সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম কি
না সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে
তাহলে এই ওয়েব সাইটের অন্য আর্টিকেলগুলি পড়তে পারেন। এতক্ষণ ধরে এই আর্টিকেলটি
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ , আশা করছি আপনি ম্যাজিক টেক আইটির সাথেই থাকবেন
!!
ম্যাজিক টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url